রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০১:২২ পূর্বাহ্ন

ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের আমরণ অনশনের ঘোষণা

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯
  • ৪০০ সময় দেখুন

আজ দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের সামনে সংবাদ সম্মেলনে আবারও কঠোর আন্দোলনে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এ সময় আগামী ২৪ ঘন্টার দাবি না মানা হলে আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেয়াসহ চার দফা দাবিতে গত মাসের ২৬ তারিখ থেকে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন কমিটি থেকে বাদ পড়া নেতাকর্মীরা।

তাদের দাবিগুলো হল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ, শূণ্য ঘোষিত ১৯টি পদ ছাড়াও যারা ‘বিতর্কিত’ রয়েছেন, তাদের নাম পদবিসহ প্রকাশ, বিক্ষুব্ধদের মধ্য থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে বিতর্কিতদের জায়গায় পদায়ন এবং বিক্ষুব্ধদের ওপর হামলার বিচার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের বিগত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক মুরাদ হায়দার টিপু বলেন, শুরু থেকেই আমাদের এই দাবিগুলোর ব্যাপারে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অকল্পনীয় উদাসীনতা দেখছি। তাই আমাদের দাবিগুলো আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পূরণ না করা হলে অনশন করার কর্মসূচি পালন করব।

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এতদিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেও আমরা দেখছি আমাদের দাবিগুলো পূরণ হচ্ছে না। তাই আমরা এখন অনশন কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের বিগত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসেন, সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক রানা হামিদ, সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-সম্পাদক ইমদাদ হোসেন সোহাগ, সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, সাবেক সহ-সম্পাদক এসএম মামুন, সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক শেখ আবদুুল্লাহ, শেখ নকিবুল ইসলাম সুমনসহ ১৯ নেতাকর্মী।

সম্মেলনের এক বছর পর গত ১৩ই মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলে তা পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন পদবঞ্চিত নেতারা।

তারা অভিযোগ করেন, বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবী ও বিভিন্ন মামলার আসামিসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত অনেককে পদ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বঞ্চিত করা হয়েছে অনেক ত্যাগী নেতাকে। এ নিয়ে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কয়েকবার মারামারিও বাঁধে কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের। এরপর কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে আশ্বাসে পিছু হটে বিক্ষুব্ধরা।

বিক্ষুব্ধদের আন্দোলনের মুখে গত ২৯শে মে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিতর্কিত কয়েকজনকে বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করেন।

কিন্তু এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা হলে ২৬শে মে ফের অবস্থানে ফেরে বিক্ষুব্ধরা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর