শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৬:১৩ অপরাহ্ন

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন বিভিন্ন অভিযোগে চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাকে বয়কট করল

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০
  • ২৬৮ সময় দেখুন

বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নায়ক জায়েদ খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাকে বয়কট করল চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন। আজ দুপরে এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন সংগঠনগুলোর নেতারা।

এ সময় জায়েদ খানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয় ১৮ সংগঠনের পক্ষ থেকে। লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, আপনারা জানেন, চলচ্চিত্র নির্মাণে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নির্মাণব্যয় কমানোর লক্ষ্যে এবং সুষ্ঠু পরিবেশ ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে এ বছরের শুরুর দিকে আমরা চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট সব সংগঠন একত্রে মিলিত হয়ে ‘চলচ্চিত্র নির্মাণ-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠন করি। সব সমিতি এ কমিটির নীতিমালার সঙ্গে একমত পোষণ করলেও শুধু ব্যক্তিস্বার্থের কারণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি এর বিরোধিতা করে। আমরা তাদের বোঝানোর জন্য বেশ কয়েকজন শ্রদ্ধেয় সিনিয়র শিল্পী নিয়ে একটা সভা করি। যার অধিকাংশই আবার শিল্পী সমিতির সম্মানিত উপদেষ্টা।

তারাও আমাদের নীতিমালাকে প্রশংসা করেন এবং চলচ্চিত্রের স্বার্থে নীতিমালাটিকে মেনে নেওয়ার জন্য শিল্পী সমিতির নেতাদের অনুরোধ করেন। কিন্তু তার পরও শিল্পী সমিতির নেতারা আমাদের সবার মতামতের ভিত্তিতে তৈরি নীতিমালাকে মেনে নেননি।

জায়েদ খানের নাম উল্লেখ করে ১৮ সংগঠনের পক্ষে গুলজার বলেন, ‘আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, এই নীতিমালার সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তার কারণেই শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ অন্য সব সমিতি কর্তৃক প্রণয়নকৃত নীতিমালা মেনে নিতে পারছেন না।’

এ ছাড়াও জায়েদ খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিল্পী-কুশলীকে হয়রানি করা, মিথ্যা মামলা দেওয়া এবং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করার অনেক অভিযোগ এসেছে।

জায়েদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে বলা হয়, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিলের জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে খরচের জন্য নগদ ৬ লাখ টাকা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে সরাসরি গ্রহণ করেন। কিন্তু জাতীয় কমিটি কর্তৃক গঠিত অর্থসংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বাচ্চু, জায়েদ খানকে বারবার চিঠি দিয়ে সভায় উপস্থিত থেকে ৬ লাখ টাকার হিসাব প্রদান করার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি কোনো সভায় উপস্থিত হননি এবং হিসাবও দেননি। এ কারণে গতকাল ১৪ জুলাই চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠনের এক জরুরি সভায় জায়েদ খানকে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সব কর্মকান্ড থেকে বয়কট অর্থাৎ বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তার সঙ্গে কেউ কাজ করবেন না এবং তার সঙ্গে কেউ কোনো কাজে অংশগ্রহণ করবেন না। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো নিয়ে গঠিত চলচ্চিত্র পরিবারের প্রণয়নকৃত নীতিমালা মেনে যারা কাজ করবেন, শুধু তাদের নিয়েই এখন থেকে চলচ্চিত্র নির্মিত হবে। যারা এই নীতিমালা মেনে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করবেন তাদের নিষিদ্ধ করা হবে।

নিষিদ্ধ শিল্পী-কুশলীদের নিয়ে যেসব প্রযোজক অথবা পরিচালক কাজ করার উদ্যোগী হবেন কিংবা কাজ করবেন, তাদের নিজ নিজ সমিতির সদস্যপদ থেকে গঠনতন্ত্র মোতাবেক বহিষ্কার করা হবে অর্থাৎ তাদের সদস্যপদ বাতিল করা হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর