রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৮ অপরাহ্ন

এবার উত্তাল খুলনার ইউআইইউ ক্যাম্পাস : ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৮ সময় দেখুন

বিশ্বজিৎ কুমার বসু-ভ্রাম্যামান প্রতিনিধি, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): খুলনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অস্থিরতার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) উপাচার্য (ভিসি) আবুল কাসেম মিয়া ও সিএসই বিভাগের প্রধান ড. মুহাম্মদ নুরুল হুদার পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইউআইইউ ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি মানা না হলে আজই (২৬ এপ্রিল) আমরণ অনশনে বসবেন তারা। এদিকে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মধ্যে ক্যাম্পাসের ভেতরে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

 

আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ইউআইইউর ওই দুই শীর্ষ ব্যক্তির পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।

 

আন্দোলনে অংশ নেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী ঢাকা টাইমসকে জানান, সিএসই বিভাগের প্রধান ড. মুহাম্মদ নুরুল হুদা বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের কমিটির সভাপতি। স্বৈরাচারী রাজনৈতিক আদর্শের ঘনিষ্ঠ ও বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত এই শিক্ষক ইউআইইউ থেকে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হেনস্তার চেষ্টা করছেন।

 

তারা অভিযোগ করেন, অনৈতিক ফি আদায়, অদক্ষ শিক্ষক, মানহীন শিক্ষাব্যবস্থা, ডিপার্টমেন্ট অফিসে শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ, কঠোর পরীক্ষা পদ্ধতি, স্বৈরাচারীদের পুনর্বাসন, ক্যান্টিনে মানহীন খাবার সরবরাহসহ অসংখ্য অভিযোগে বারবার প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে এলেও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

 

এসব বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা হলেও অদক্ষ প্রশাসনের কোনো ব্যবস্থা না নিতে পারার দায় বর্তমান ভিসি কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। এজন্য তারা ভিসিরও পদত্যাগ চান।

 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওপর স্বৈরাচারী সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের প্রেতাত্মা ভর করেছে। তারা ক্যাম্পাসে ইন্টারনেট বন্ধ করে দুই গাড়ি পুলিশ এনে ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন দমনের পাঁয়তারা করছে।

 

এই আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয় দাবি করে শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা চান ইউআইইউতে বাস্তব সংস্কার হোক। বর্তমান ভিসি অনৈতিক উপায়ে নিজ পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিম্নগামী হয়েছে। বর্তমান গভর্নিং বডির সংস্কার, ভিসির পদত্যাগ, সিএসই বিভাগের প্রধানের পদত্যাগ সহ শিক্ষার্থীদের সব ন্যায্য দাবি অতি দ্রুত পূরণ করার দাবি জানান তারা।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর