শনিবার সকালে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চলতি বছরের শুরুতে ‘নিম্নমানের’ হওয়ায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচি স্থগিত হলেও এবার আর কোনো সমস্যা নেই। দেশে ও দেশের বাইরে পরীক্ষাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে মান নিশ্চিত হয়েই এবার শিশুদের ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এবার ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণ নাই।
মন্ত্রী বলেন, এবার সারা দেশে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। ‘এবার মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। আমরা নিজেরা দেখেছি এবং বিভিন্নভাবে দেশে ও দেশের বাইরে টেস্ট করা হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ক্যাপসুল সংকটের কারণে যে সমস্যা ছিল বা তিনটি বিভাগ ও ছয়টি সিটি করপোরেশনে যেভাবে শুধুমাত্র নীল রঙের টিকা খাওয়ানোর কথা ছিল সেটা বাদ দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুততম সময়ে আগামী ছয় মাসের জন্য বরাদ্দ ক্যাপসুলগুলো নিয়ে এখন নিয়মমাফিক লাল ও নীল রঙের টিকা খাওয়ানো হচ্ছে।
ছয় মাস থেকে এক বছর বয়সী ২৫ লাখ শিশুকে এক লাখ ইউনিটে নীল ক্যাপসুল এবং পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি দুই লাখ ইউনিটে শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বছরে সরকার দুই বার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে থাকে। স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র হাসপাতাল,স্কুল ছাড়াও স্কুলবাস, ট্রেন, লঞ্চ ও ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন জনসমাগম স্থলে মোট এক লাখ ৪০ হাজার টিকাকেন্দ্রে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
মন্ত্রী জানান, এই ক্যাম্পেইন শেষ হলেও আগামী ১০ দিন ক্যাপসুল খাওয়ানোর সুযোগ আছে। তবে সেটা কেবল অসুস্থ শিশুদের জন্য। আর এছাড়া পাহাড়ি অঞ্চল বা একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তিনদিন ধরে এই খাওয়ানো যাবে সব শিশুকেই।
জাহিদ মালেক বলেন, শিশুদের অবশ্যই ভরা পেটে টিকা খাওয়াতে হবে। কোনো অবস্থাতেই অসুস্থ অবস্থায় খাওয়ানো যাবে না। অসুস্থ অবস্থায় খাওয়ালে শরীরের অন্যান্য প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে।
Leave a Reply