শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:১৪ অপরাহ্ন

একটি ইসলামী দল ৫ আগস্টের পর ব্যাংক দখল করছে : বলেছেন, রুহুল কবির রিজভী

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৫ সময় দেখুন

ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বের ২০২৪ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): আজ রবিবার জাতীয়তাবাদী রিকশা ভ্যান অটো শ্রমিক দলের পক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৫ আগস্টের আগে ব্যাংক লুট ও দখল করেছিল আওয়ামী লীগ আর ৫ আগস্টের পর ব্যাংক দখল করছে একটি ইসলামী দল।

 

রিজভী বলেন, ১৬ বছরের নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলনের ফল জুলাই বিপ্লব। এই আন্দোলন করতে গিয়ে ৯৭ জন শ্রমজীবী মানুষ শহীদ হয়েছে। তাদের অবদান গোটা জাতিকে অগ্নিগর্ভ করেছে।

 

তিনি বলেন, শুধু পার্শ্ববর্তী দেশই অপপ্রচার করছে না, দেশের দুই-একটি রাজনৈতিক দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। এদেশের গণতান্ত্রিক সব দল এখন তো ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা। কিন্তু এই ফাটল ধরিয়ে তারা ফায়দা লুটতে চায়। কিন্তু দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী জনগণ এটা বুঝে।

 

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়। ভালো কথা কিন্তু শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করতে চায় জামায়াত। কিন্তু শেখ হাসিনার যত গুম-খুন এর সহযোগিতা করেছে আমাদের এ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। তারা ক্ষমা চাইল না। আর আপনারা ক্ষমা করে দিবেন? এটা ইসলামের মর্ম বাণীর বিরুদ্ধে গেল না?

 

ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা বলেন, অনেকেই অনেক কথা বলেন। শহীদ শ্রমিক, রিকশাচালকদের বাসায় কি কেউ গিয়েছিলেন? তাদের পরিবার স্ত্রী-সন্তান কেমন আছে, কীভাবে চলছে, এটা খোঁজ নিয়েছেন? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের উপদেষ্টা কয়জন তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তারা তো সরকার গঠন করেছে। তারা মাঝে মাঝে বাজে সবক দেন। আবার দু একটা দল আছে তাদেরকেও দেখি মাঝে মাঝে সবক দেন। তারা বলেন, এক চাঁদাবাজ চলে গেছে আর এক চাঁদাবাজকে দেখতে চাই না। কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন—এটা কি আমরা বুঝতে পারি না?

 

শেখ হাসিনার আমলে যারা লুট করেছে সেই এস আলমদের উত্তরসূরি হয়ে ৫ আগস্ট এর পরে একটি দলের অনুসারীরা ব্যাংক দখল করেছে । বড় বড় কথা বলে বিএনপির নামে কলঙ্ক লেপন করছে। পাড়া মহল্লায় টার্মিনাল দখল, টেন্ডার বাজিসহ নানান কিছু দখলে করেছে একটি দল।

 

বিএনপি সিনিয়র এ নেতা আরও বলেন, শুধু পার্শ্ববর্তী দেশই অপপ্রচার করছে না, দেশের দুই-একটি রাজনৈতিক দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। সেই দলটাকে আমি বলতে চাই—একাত্তরে আপনাদের অর্জন কি? আপনার তো স্বাধীনতা বিরোধিতা করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। একাত্তরের গৌরব, ৯০ এর গৌরব বিএনপির। সেদিনও আপনারা শেখ হাসিনার সাথে আঁতাত করে এরশাদের নির্বাচনে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে যায়নি।

 

তিনি বলেন, আপনারা ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করেন। ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করা মানে কি বারবার মুনাফেকি করা? ইসলামের মর্মবাণী হচ্ছে আপনি যে কথা দিবেন সে কথা রাখা। জনগণের প্রতি অঙ্গীকার থেকে বিএনপি কখনও পিছিয়ে আসেনি। ১৯৭১ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণতন্ত্রের প্রশ্নে বিএনপি কখনও মাথানত করেনি। এই গৌরব বিএনপির, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের।

 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়াপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সংগঠনের নেতা আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর