আজ বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক যৌথ কর্মিসভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইসলাম বলেছেন, ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ দেশে এখন লুটপাট চালাচ্ছে। জন্য ঐতিহ্যবাহী এই দলটি এখন ‘নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি’তে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উনাদের হুকুমে ব্যাংকের মালিকানা চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে।পত্রপত্রিকায় দেখা যায় একজন ব্যক্তি নয়টি ব্যাংকের মালিক হয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রিজার্ভ হাইজাক হয়ে যাচ্ছে, যেটা আমেরিকার রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা আছে।ওইখান থেকে ৮০০ কোটি টাকা হাইজাক হয়ে গেছে। হ্যাক করে নিয়ে গেছে। ব্যাংকে গচ্ছিত সোনা তামা হয়ে যাচ্ছে। বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে হাজার হাজার টন কয়লা ছাই হয়ে যাচ্ছে। পাথর হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশকে লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের নাম নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি রাখা উচিত।’
গ্রাম পর্যায়ে ভিজিডি-ভিজিএফ ধান গম ইত্যাদি আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সর্বত্র দলীয়করণ চলছে।’ তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই। কোথায় যাবেন, কার কাছে যাবেন?’
নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে ফখরুল বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। কাজ করছি। সব সময় যে সফল হচ্ছি তাও না। কিন্তু এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা কাজ করছি।’
ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বহুদলীয় শাসনব্যবস্থাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করেছিল। বাকশাল চালু করেছিল। সব পেপার পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। আর এবার সে ব্যবস্থা না করলেও অটো বাকশাল কায়েম করেছে।’
‘এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে। অঙ্গ-সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। কারণ আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করবো। মানুষের জন্য সংগ্রাম করবো এবং একদিন সেই সংগ্রামে জয়ী হবো ইনশাল্লাহ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ এই সরকারের অত্যাচার থেকে মুক্ত পেতে হলে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হলে সংগঠনকে আরও বেশি শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’
বালিয়াডাংগী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রজিউর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, জেলা কৃষক পার্টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস প্রমুখ।
Leave a Reply