তিন সপ্তাহ পর আবার অভিযানে নামলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। ঈদের আগে আড়ং এবং অফিসার্স ক্লাবে অভিযান চালানোর পরপর প্রজ্ঞাপন দিয়ে তাকে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ৪ জুন অবশ্য তার সেই বদলি আদেশ বাতিল করা হয়।
বদলি আদেশ প্রত্যাহারের প্রায় ২১ দিন পর মঙ্গলবার রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় অভিযান চালান মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। এদিন তিনি রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় বইয়ের দোকানে অভিযান চালান। দোকানগুলো বিদেশি বই পাইরেসির মাধ্যমে বেশি দামে বিক্রি করত। অনেক ক্ষেত্রে আসল বইয়ের চেয়ে নকল বই বেশি দামে বিক্রি করার দায়ে বই বিচিত্রাকে ৫০ হাজার, ওয়ার্ল্ড বিচিত্রাকে ২৫ হাজার, বিশ্ব বিচিত্রাকে ৫০ হাজার এবং বই বিচিত্রার অপর এক শাখাকে আরও এক লাখ টাকাসহ মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযান শেষে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্রেতা বিক্রেতা হিসেবে আমরা গত তিন চার মাস তথ্য সংগ্রহ করেছি এবং অন্যান্য কাস্টমাররা যখন কিনেছে আমরা তাদের থেকেও তথ্য নিয়েছি। আজকের অভিযানে আমরা এখানে পাইরেসির সত্যতা পেয়েছি তাই সব দোকানকে জরিমানা পাশাপাশি সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে আগামীকাল (বুধবার) তাদের অধিদপ্তরে সঠিক কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।’
ভোক্তা অধিকারের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও ভেজালবিরোধী অভিযান করেছি। অভিযান অব্যাহত আছে। আজকে বইয়ের বাজারে অভিযান চালিয়েছি। আগামীতে গণপরিবহনে যাত্রী হয়রানি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, খাদ্যপণ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর অভিযান চালানো হবে।’
৩ জুন ভোক্তা অধিকারের এই কর্মকর্তাকে প্রজ্ঞাপন দিয়ে খুলনা জোনের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিতে বলা হয়। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়। পরে অবশ্য ঈদের আগের দিন (৪ জুন) তার বদলি আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি স্বপদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বদলি এই ঘটনার পর তিনি তিন সপ্তাহ আর অভিযানে নামেননি।
Leave a Reply