বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৬ অপরাহ্ন

আবারও ভারত-পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে : তীব্র উত্তেজনা

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪ সময় দেখুন

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): কাশ্মীর সীমান্তে টানা ষষ্ঠ দিন ভারত-পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সেনা সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।

 

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান সেনাবাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরের পারগাওয়াল সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ওপার থেকে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি শুরু করে। এতে উত্তেজনা ছড়ায়। একই সময় অন্য এলাকাতেও গুলির শব্দ পাওয়া গেছে।

 

পরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত থেকে বুধবার (৩০ এপ্রিল) ভোরের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে জম্মু ও কাশ্মীরের নওশেরা, সুন্দরবানী এবং আখনুর সেক্টরে গুলি চালায় পাকিস্তানি সেনারা। বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখার অপর প্রান্ত থেকে গুলি চালানো হয়। এতে পাল্টা গুলি করে জবাব দেয় ভারতীয় বাহিনী।

 

এ সংঘাতে ‘অযাচিত ছোট অস্ত্র’ ব্যবহারের অভিযোগ করেছে ভারত। দেশটি বলছে, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে গো

 

লাগুলি তারা ভালোভাবে নিচ্ছে না। প্রতিবারই ভারতীয় সেনারা উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।

 

এর আগে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। ওই দিনও ‘পরিমিত ও কার্যকরভাবে’ জবাব দেওয়ার কথা জানায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।

 

গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। তবে এতে এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

 

গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার নিয়েছে। ২২ এপ্রিল পেহেলগামের ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ নামে পরিচিত এলাকায় ছুটি কাটাতে আসা ২৬ জন পর্যটককে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে এক জন নেপালের নাগরিকও ছিলেন। ঘটনায় আরও এক কাশ্মীরি স্থানীয় বাসিন্দাও মারা যান, যিনি এক সন্ত্রাসীর কাছ থেকে রাইফেল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

 

মর্মান্তিক এই হামলার পর ভারত সরকার একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত রাখার ঘোষণা অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, হামলাকারীদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে এবং দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

 

অন্যদিকে, ইসলামাবাদ পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করাকে ‘যুদ্ধের উসকানি’ বলে উল্লেখ করেছে। এ নিয়ে দুই দেশে যুদ্ধের দামামা বাজছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর