শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিতে ঋণখেলাপিদের জায়গা হবে না : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২২ সময় দেখুন

ঢাকা, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইসিসি কার্নিভাল হলে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি আয়োজিত এক সিম্পোজিয়ামের শেষ অধিবেশনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিতে ঋণখেলাপিদের জায়গা হবে না। ‘বিএনপি থেকে ঋণখেলাপিরা যেন মনোনয়ন না পায় দলের পক্ষ থেকে সে বিষয়ে আন্তরিকভাবে চেষ্টা থাকবে।’তবে রাতারাতি সব পরিবর্তন সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘অতীতের সব অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। সেই শিক্ষা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলবো।’

 

আজ শনিবার ‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর: অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।

 

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে সিম্পোজিয়ামে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান উপস্থিত ছিলেন।

 

নির্বাচনের ঘোষণা তাড়াতাড়ি হওয়া প্রয়োজন মনে করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, ‘সংস্কার দরকার আছে। তবে দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা দিতে হবে। জনগণের ভোটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়া সম্ভব হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যারা আন্দোলন করেছে তাদেরকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে চায়।’

 

দেশের মানুষ সত্যিকার অর্থে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তবে রাজনৈতিক কাঠামোতে আনতে না পারলে বাস্তবে এটি সম্ভব হবে না। ক্ষমতায় গেলে বিএনপি বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করবে। আমরা নির্বাচনের পর নির্বাচিত দলসহ জাতীয় সরকার গঠন করতে চাই।’

 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে দুই বছর আগেই বলেছি। এজন্য বিএনপি ৩১ দফা দিয়েছে। অর্থনৈতিক সংস্কার ও রাজনৈতিক সংস্কার। আমরা রাজনৈতিক সংস্কারে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। অনেকে এই গণঅভ্যুত্থানকে বিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করেন। আমি বলব এটা গণঅভ্যুত্থান। এজন্য আমরা রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলছি।’

 

বিএনপি কী ধরনের সংস্কার চায় সেই প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দুবারের বেশি হতে পারবেন না। সংসদ দুই কক্ষ বিশিষ্ট হবে। যারা নির্বাচন করেন না কিন্তু তারা যেন দেশ চালানোয় অংশগ্রহণ করতে পারেন এ ব্যবস্থা করবো।’

 

‘আমরা বৈষম্য দূর করতে চেষ্টা করব। এজন্য নির্বাচনের পর আমরা জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলেছি। দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। যেসব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের জন্য দরকার সেসব প্রতিষ্ঠানকে গত ১৫ বছরে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।’

 

ক্ষমতায় গেলে বিএনপি সংস্কার করতে পারবে কি না প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘পারবো না এ কথা বলা যাবে না। আমরা জনগণের কাছে ঐক্যবদ্ধ।’

 

‘অনেকেই আশা করছেন ছয় মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার সব পেরে যাবে, যা আসলে সম্ভব না। এজন্য আমরা নির্বাচনে বেশি জোর দিচ্ছি। আমাদের সংসদে কখনো গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি। আমরা চেষ্টা করে দেখি পারি কি না।’

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর